ঢাকারপ্রাণবন্ত রাস্তায়, বিক্রেতাদের কোলাহল আর পথচারীদের আড্ডার মাঝে, সময় যেন এক ভিন্ন ছন্দে বয়ে চলে। এই ছন্দ শুধু পরিচিত গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের সাথে মেলে না, বরং এই মাটির কৃষিচক্র এবং ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের সাথে গভীরভাবে জড়িত – বাংলা বর্ষপঞ্জির সাথে।
আমার দাদীমা’র কথা মনে পড়ে, তার সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে ক্ষয়ে যাওয়া আঙুলগুলো ‘পঞ্জিকা’র পাতা উল্টাতো। উৎসব আর পারিবারিক অনুষ্ঠানের শুভ তারিখগুলো তিনি যত্নের সাথে লিখে রাখতেন। বাংলা মাসগুলোর মাঝে এমন সব রহস্য লুকিয়ে আছে, যা পাশ্চাত্যের ক্যালেন্ডারে ধরা দেয় না।
এই অনন্য বর্ষপঞ্জি বুনোট বস্ত্রের মতো, যেখানে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের তাঁত বোনা হয়েছে ঋতু পরিবর্তনের সাথে। চলুন তাহলে বাংলা বর্ষপঞ্জির রহস্যভেদ করে জেনে নেই, আজকের বাংলা তারিখ কী।
ভিত্তি: উৎস এবং মূলনীতি
বাংলা বর্ষপঞ্জির উৎস সন্ধান করলে আমরা ফিরে যাই সপ্তম শতাব্দীর মুঘল সম্রাট আকবরের সময়ে। সারা সাম্রাজ্যে কর আদায়কে সুव्यবস্থিত করতে তিনি বিদ্যমান ক্যালেন্ডারগুলোর সংস্কার শুরু করেন। তাঁর রাজ-জ্যোতিষী ফতুল্লাহ শিরাজী কৌশলের সাথে ইসলামিক চন্দ্র-ক্যালেন্ডার এবং প্রচলিত হিন্দু সৌর-ক্যালেন্ডারের বিশেষ দিকগুলো মিশিয়ে বাংলা ক্যালেন্ডারের এক অনন্য চন্দ্র-সৌর রূপ দেন।
কৃষি ঋতুর সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত বাংলা বর্ষপঞ্জি শুরু হয় পহেলা বৈশাখে (গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে সাধারণত ১৪ই এপ্রিল)। বছরটি ছয়টি মনোরম নামের ঋতুতে বিভক্ত: গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত।
বাংলা দিন-মাস গণনা: গঠন এবং হিসাব-নিকাশ (Bengali Day-Month Calculation: Structure and Calculation 2024)
গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের মত নয়, বাংলা বছরের প্রথম পাঁচ মাসে সবসময় ৩১টি দিন থাকে, এবং পরবর্তী মাসগুলো ৩০ থেকে ৩১ দিনের মধ্যে ওঠানামা করে। সৌর বছরের সাথে মিল রাখতে প্রায় প্রতি সাত বছর অন্তর একটি অতিরিক্ত মাস যোগ করা হয়, যাকে বলা হয় ‘অধিক মাস’।
আজকের বাংলা তারিখ (পহেলা ফাল্গুন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ): (Today’s Bengali Date & Time 2024)
আপনি যদি আজ ঢাকার রাস্তায় হাঁটতেন, বাংলা তারিখটি হতো (পহেলা ফাল্গুন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ)। আরও নিখুঁত হিসাবের জন্য, Wikipedia এর মতো ওয়েবসাইটগুলোতে আপনি সঠিক বাংলা তারিখের পাশাপাশি সম্পর্কিত গ্রেগরিয়ান ও হিজরি তারিখও পেয়ে যাবেন।