ব্লগিং কিভাবে শুরু করা যায় । একদম শুরু থেকে শেষ [১০টি সহজ উপায়]!

Md. Abdur Rahman
16 Min Read

ব্লগিং কিভাবে শুরু করা যায় তার সহজ ১০টি উপায় নিয়ে সাজানো হয়েছে আমাদের আজকের এই পর্বটি। ব্লগিং কেন করবেন কি উদ্দ্যেশ্য, কিভাবে ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করা যায় তাই নিয়ে আমরা পূর্বের আরেকটি লেসনে আলোচনা করেছি।

১০টি সহজ উপায়ে ব্লগিং কিভাবে শুরু করা যায়

আজ আমরা ব্লগিং কিভাবে শুরু করা যায় একদম শুরু থেকে আলোচনা করবো, যেমন – কিভাবে একটি ব্লগের বিষয় নির্বাচন করতে হবে, কিভাবে ব্লগের নাম ঠিক করতে হবে ইত্যাদি।

আশা করি, আপনারা যদি আমাদের নিচের এই গাইডলাইনগুলো সঠিকভাবে অনুসরন করেন, তাহলে ব্লগিং কিভাবে শুরু করা যায় এই প্রশ্নটি আপনার মধ্যে আর থাকবে না এবং আপনি খুব সহজেই একটি আদর্শ ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারবেন। চলুন শুরু করা যাক –

- Advertisement -
ব্লগিং কিভাবে শুরু করা যায় । একদম শুরু থেকে শেষ [১০টি সহজ উপায়]!
Image by vectorjuice on Freepik

ব্লগিং শুরু করার পূর্বে নিচের বিষয়গুলো খুব গুরুত্বের সাথে একবার দেখে নিনঃ

১. ব্লগের জন্য সঠিক বিষয় নির্বাচন করুন

২. সুন্দর একটা ডোমেইন নাম বাছাই করুন

৩. টপ লেভেল ওয়েব হোস্টিং নির্ধারণ করুন

৪. ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট বেঁছে নিন

- Advertisement -

৫. ব্লগ লেখার সরাঞ্জাম কম্পিউটার বা মোবাইল

৬. আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে ইউনিক চিন্তা করুন

৭. আর্টিকেল গুলির সঠিক কিওয়াড রিসার্স করুন

৮. সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ারিং

৯. আর্টিকেল লেখার ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন

১০. ‍মনিটাইজেশন এর উপযোগী করে গড়ে তোলা

- Advertisement -

১. ব্লগের জন্য সঠিক বিষয় নির্বাচন করুন

প্রথমেই আমরা যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব সেটা হল – ব্লগের জন্য সঠিক বিষয় নির্বাচন।

ব্লগিং কিভাবে শুরু করা যায় এই কথাটি মনে পড়লে প্রথমেই যে কাজটি সেটা হল বিষয় নির্বাচন করা। কারন কোন কিছু শুরু করার পূর্বে অবশ্যই প্লান ও বিষয় নির্ধারন করা জরুরি।

এখন বিষয় নির্ধারন করার পূর্বে আপনার কিছু বিষয় আগে থেকেই জানতে হবে যে বিষয়গুলো ব্লগিং এর জন্য খুবই জনপ্রিয়। যেমন – আপনার ব্লগিং এর ভাষাটি কি হবে – ইংলিশ, বাংলা নাকি অন্য কোন ভাষা, কোন বিষয়ের উপর লিখবেন, কারা আমার লেখাগুলো পড়বে ইত্যাদি।

- Advertisement -

এই সকল প্রশ্ন এবং উত্তর আপনার পূর্ব থেকেই জেনে নিতে হবে। তাহলে আপনার সামনের পথচলা অনেক সহজ হয়ে উঠবে।

কারন বর্তমান বিশ্বে ইংলিশ ভাষার চাহিদা অনেক বেশি এবং এর কিওয়ার্ড এর রেটিং ও সার্চ ক্লিকের মূল্যও অনেক বেশি। কিন্তু ইংরেজি ভাষায় কম্পিটিশন বা প্রতিদ্বন্দি অনেক অনেক বেশি। তবে, একটি কথা সত্যি যে আপনি যদি আপনার নিজের মাতৃভাষায় একটি ব্লগ তৈরি করেন তাহলে অনেক বেশি স্বাচ্ছ্যন্দ পাবেন। যাইহোক চয়েসটি আপনার।

এখন নিচে কিছু জনপ্রিয় ব্লগ এর ক্যাটাগরি উল্ল্যেখ করা হল আপনাদের বিষয় নির্ধারন করাটা সহজ করে তুলতেঃ

১. টেকনোলজি

৩. স্বাস্থ্য ও ফিটনেস টিপস

- Advertisement -

৪. অনলাইন এসসিও ও ডিজিটাল মার্কেটিং

২. শিক্ষা বিষায়ক বা অনলাইন ট্রেনিং

৫. বিভিন্ন পন্যের রিভিউ

৬. আইটি টিপস এন্ড ট্রিকস

৭. কুকিং এন্ড রেসিপি

৮. ট্রাভেলিং এবং গাইডলাইন

- Advertisement -

৯. খেলাধুলার নিউজ

১০. সফটওয়্যার টিপস ইত্যাদি

উপরের বিষয় থেকে যেকোন একটি হতে পারে আপনার ব্লগ এর বিষয়। তবে আমার মতামত আপনি যে বিষয় এ বেশি পারদর্শী সেই বিষয় নিয়ে ব্লগ শুরু করলে আপনি সফলতা খুব সহজেই অর্জন করতে পারবেন।

বর্তমানে টেকনলজি এবং স্বাস্থ্য বিষয়টা ব্লগের ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি জনপ্রিয়।

টেকপথ.কম

অনলাইন মার্কেটটা আসলে সবার জন্য উন্মূক্ত। যেকেউ চাইলেই এখানে তার বিজনেস শুরু করতে পারে। তাইতো আমাদের ব্লগের লেখা প্রতিনিয়ত অনুসরন করুন। আর চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা সম্পূর্ন ফ্রিতে ডিজিটাল টিপস দিয়ে থাকি যে কিভাবে একটা অনলাইন বিজনেস এ সফলতা পাবেন।

২. সুন্দর একটা ডোমেইন নাম বাছাই করুন

সুন্দর একটা নাম আপনার ব্লগের ব্রান্ড মার্কেটিং এর কাজ করে থাকে। এজন্য প্রথমেই আপনার ব্লগের জন্য একটা সুন্দর নাম বাছাই করতে হবে।

ডোমেইন এর নাম বাছাই করার ক্ষেত্রে আমার মতামত অন্তত কিছুটা সময় নিন। দরকার হলে ১-২ দিন সময় নিতে পারেন, ভাবুন। কারন এই নামটা নিয়ে আপনার আজীবন চলতে হবে। একটা সুন্দর ডোমেই নাম বাছাই করার জন্য কিছু পরামর্শ-

১. ডোমেইন নামটা অবশ্যই ৬-১২ অক্ষরের মধ্যে রাখার চেস্টা করুন

- Advertisement -

২. ডোমেইন নামের মধ্যে কোন সংখ্যা বা হাইফেন ব্যবহার না করাটা ভাল

৩. Leandomainsearch.com এই সাইটটি আপনার ডোমেইন নাম বাছাই করতে সাহায্য করতে পারে, একবার ভিজিট করে আসুন।

৪. সবসময় টপ লেভেল ডোমেইন .com বাছাই করুন

৫. ডোমেইন এর মধ্যে আপনার বিষয় সম্পর্কিত কোন শব্দ থাকলে ভাল হয়। যেমন – টেকনিক্যাল ব্লগ এর জন্য আপনার ডোমেইন নাম এ যদি tech সম্পর্কিত কোন শব্দ থাকে তাহলে ভাল হয়।

উপরের এই বিষয়গুলো বিশ্লেষন করে আপনি আপনার ডোমেইন এর জন্য সুন্দর একটি নাম ঠিক করতে পারবেন।

- Advertisement -

৩. টপ লেভেল ওয়েব হোস্টিং নির্ধারণ করুন

আপনার ওয়েবসাইটের জন্য টপ লেভেল ওয়েব হোস্টিং নির্ধারন করুন। এই বিষয়টা নির্বাচন করার ক্ষেত্রে প্রায় অনেকেই ভুল করে থাকে। কারন হোস্টিং সারভারে আপনার ওয়েবসাইটের সকল তথ্য থাকে এবং সাইটটিকে ২৪/৭ আপ রাখার জন্য এটা অনেক বেশি জরুরি।

এই জন্য আপনি যদি আপনার হোস্টিংটা নিম্নমানের বাছাই করেন। তবে দেখা যাবে যে প্রতিদিনের কয়েকঘন্টা আপনার সাইটটি ডাউন থাকছে।

এই রকম কোন সাইট যদি দিনের অনেকটা সময় ডাউন থাকে এবং সেই সময়ে আপনার কোন ভিজিটর যদি এসে ফিরে যায়। তাহলে সেই ভিজিটর আর আপনার সাইটে আসার ইচ্ছা পোষন করবে না। এছাড়াও এই জন্য গুগল এর পেজ র‍্যাঙ্কিং দিনে দিনে অনেক কমে আসবে।

এজন্য আমার মতামত আপনি হোস্টিংটা নেওয়ার ক্ষেত্রে আমেরিকা বা সিঙ্গাপুর এর সার্ভার চয়েজ করতে পারেন। এটা আপনি সরাসরি GoDaddy, HostGator ইত্যাদি থেকে নিতে পারেন। এছাড়াও আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি এমন টপ লেভেল হোস্টিং প্যাকেজ ক্রয় করতে ক্লিক করুন

৪. ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট বেঁছে নিন

আপনার ব্লগের জন্য ডোমেইন ও হোস্টিং হল এখন দরকার ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট করা। এখানে এসে অনেকেই বড় ভুল করে বসে।

অনেকেই প্রথম দিকে অনেক টাকা খরচ করে একটা সাইট ডেভেলপমেন্ট করে থাকে। আবার অনেকেই সাইট ডেভেলপমেন্ট করার খরচের জন্য ব্লগিং শুরু করতে ভয় পায়। আমিও তেমনটাই ভাবতাম যে একটা সাইট তৈরি করতে অনেক টাকা দরকার। কিন্তু এখন ওয়ার্ডপ্রেস এর জগতে এসে জানলাম একটা সাধারন ব্লগ সাইট করতে মাত্র ২-৩ ঘন্টা সময় লাগে আর খরচ তুলনামূলকভাবে অনেক কম।

- Advertisement -
Website-Advertisement-@Kaj24

আপনারা কি জানেন বিশ্বের ৬৫% ওয়েবসাইট এই ওয়ার্ডপ্রেসে ডেভেলপ করা। কারন ওয়ার্ডপ্রেস সম্পূর্ন ফ্রি এবং কোন খরচ ছাড়াই আপনি তৈরি করে নিতে পারেন ই-কমার্স এর মত বড় বড় সাইট। এছাড়াও আছে হাজারো থিম ও প্লাগিন এর সমাহার যা আপনি ফ্রি ও প্রিমিয়াম ‍দুভাবেই ব্যবহার করতে পারবেন।

ওয়ার্ডপ্রেস সাইট করার আরেকটে বড় সুবিধা আপনি যেকোন সময় আপনার সাইট এর সম্পূর্ন ডিজাইন পরিবর্তন করে নিতে পারেন কোন খরচ ছাড়াই।

খুব কম খরচে ওয়ার্ডপ্রেস সাইট তৈরি করতে ভিজিট করে আসুন কাজ২৪.কমে

Sponsored by Kaj24.com

অবশেষে আমার মতামত যারা নতুন ব্লগিং শুরু করতে যাচ্ছেন তারা চাইলে এই ওয়ার্ডপ্রেস থেকেই যাত্রা শুরু করতে পারেন। কারন এখানে আপনি আপনার সাইটের এসসিও বা মার্কেটিং এর জন্য অনেক ফ্রি টুলস পাবেন। যা ব্যবহার করে আপনিও নিজে থেকে আপনার সাইটের এসসিও করতে পারবেন।

৫. ব্লগ লেখার সরাঞ্জাম কম্পিউটার বা মোবাইল

আপনি যখন একটা ব্লগ তৈরির কথা চিন্তা করছেন। তাহলে অবশ্যই আপনার লেখা-লিখির ইচ্ছা আছে। এখন এই লেখা-লিখি করার জন্য আপনার একটা ডিভাইস দরকার পরবে, সেটা হতে পারে কম্পিউটার বা মোবাইল।

তবে অনেকেই একটা প্রশ্ন করে যে, আমরা কি ব্লগিং মোবাইল থেকে শুরু করতে পারব? আমার উত্তর হবে – হ্যা আপনি পারবেন।

কিন্তু এটাও আপনার বুঝতে হবে যে, মোবাইলের কিন্তু অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। যেমন আপনি আপনার সাইট এর কোন ডিজাইন করতে চাইলে মোবাইল থেকে এটা অনেক কষ্টকর কিন্তু যদি কম্পিউটার থাকে তাহলে অনেক সহজেই কাজটি করে নিতে পারবেন।

এছাড়াও মোবাইল স্ক্রীন ছোট হওয়ার কারনে অনেক কিছুই সঠিকভাবে দেখা যায় না। এছাড়াও আরো অনেক সমস্যার সম্মুখীন হবেন।

তাইতো আপনি যদি আপনার ব্লগটাকে দ্রুত জনপ্রিয় করতে চান তাহলে একটা কম্পিউটারের অনেক দরকার। কারন আপনাকে প্রতিনিয়ত সাইটের কিওয়ার্ড রিসার্স বা এ্যানালাইসিস করার জন্য বিভিন্ন সাইটে ভিজিট করতে হবে আবার সাইটের কাজও করতে হবে। এটা মোবাইল দিয়ে সম্ভব না।

৬. আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে ইউনিক চিন্তা করুন

আপনি যখন অনেক সময় ব্যয় করে একটা আর্টিকেল লিখবেন তখন আপনার চিন্তা থাকবে আর্টিকেলটি যেন সকলে পরে। এজন্য আপনার লেখাটা অবশ্যই অন্যদের থেকে ভিন্ন বা ইউনিক হতে হবে।

- Advertisement -

একটা ইউনিক আর্টিকেল নতুন অর্গানিক কিওয়ার্ড তৈরির জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ন। বর্তমানে গুগল তাদের মনিটাইজেশন সার্ভিসটা নতুন কোন সাইটকে দেওয়ার পূর্বে সম্পূর্ন সাইটটিকে ভাল করে চেক করে। এবং আপনার সাইটে যদি কোন ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট পেয়ে থাকে তাহলে সাইটের মনিটাইজেশন পেতে ঝামেলা হতে পারে।

এজন্য অবশ্যই সবসময় চিন্তা করবেন যে একটা ব্লগ শুরু করার পরে অন্তত ১৫-২০টি ইউনিক কন্টেন্ট দেওয়ার এবং প্রতিটা কন্টেন্ট এর ওয়ার্ড সংখ্যা যেন ১৫০০+ হয়ে থাকে।

বর্তমানে সারা বিশ্বব্যাপি হাজার হাজার নতুন ব্লগ অনলাইনে আসছে এবং সকলেই তাদের নিজস্ব চিন্তাধারা ব্যবহার করে কন্টেন্ট লিখছে তাহলে আপনার লিখাটাই কেন সকলে পরবে। এজন্যই আপনাকে সবসময় কিছু ইউনিক টেকনিক খাটাতে হবে প্রতিটা আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে।

৭. আর্টিকেল গুলির সঠিক কিওয়াড রিসার্স করুন

আপনার আর্টিকেল লেখা হয়ে গেলে এখন এই লেখাটার উপর কিওয়ার্ড রিসার্স করতে হবে। কারন আপনার লেখাটার কিওয়ার্ড রিসার্স যত ভাল হবে আপনার পোস্টটা তত বেশি মানুষের কাছে গিয়ে পৌছাবে।

আর যদি কিওয়ার্ড রিসার্স ভাল না হয় তাহলে গুগল সার্চে আপনি অনেক পিছে পরে থাকবেন। এজন্য কিওয়ার্ড রিসোর্স করার জন্য অন্তত প্রতিটা পোস্টের জন্য ২ ঘন্টা সময় দিন। যার ফলে অর্গানিক ভিজিটর পেতে সহজ হবে।

- Advertisement -

আপনি কি জানেন কিওয়ার্ড কি? এবং কিভাবে রিসার্স করে?

Keyword

উপরের চিত্রটা দেখুন। আমরা সাধারনত গুগল এ যখন কোন একটা কিছু লিখে সার্চ করি। তখন গুগল তার নিজস্ব কিওয়ার্ড লিস্ট থেকে যে কিওয়ার্ড আপনার লেখার সাথে মিলে যায় সেগুলো প্রদর্শন করে। এই প্রদর্শন করা শব্দগুলোই কিওয়ার্ড।

এজন্য এই কিওয়ার্ড আপনি যত বেশি আপনার লিখার মধ্যে ব্যবহার করবেন এবং সাথে টাইটেলে ও থাকবে। গুগল এটা এ্যানালাইসিস করে এই পোস্টগুলোকে অটোমেটিক রেঙ্ক করিয়ে দিবে।

এজন্য আপনার সাইটের কিওয়ার্ড এ্যানালাইসিস করতে বিভিন্ন সাইট এবং ইউটিউব ভিডিও অনুসরন করতে পারেন। নিচে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ন লিংক শেয়ার করছিঃ

1. Neil Patel Blog

2. MOZ Keyword Research

3. Keyword Research Tool

উপরে ২ টা ওয়েবসাইট লিংক এবং ১টি কিওয়ার্ড রিসোর্স টুলস দেওয়া হল। আমি প্রায় ৩ বছর ধরে নিল পাটেল এর লেখা অনুসরন করি। তাকে আসলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কিং বলা যায়।

কারন তার প্রতিটা লেখা একজন ব্যক্তিকে নতুন কিছু জানতে আগ্রহী করে তোলে। আপনাদের সময় থাকলে আপনারাও একবার তার লিখা পরে দেখতে পারেন।

৮. সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ারিং

আপনি যদি একজন নতুন ব্লগার হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার পরিচিতি বৃদ্ধি করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ারিং একটা বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।

আমি প্রায় অনেক ব্লগার এর কাছে শুনেছি যে তারা তাদের ব্লগের জন্য মার্কেটিং শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়াতেই করে থাকে। তাদের প্রত্যেকের সাইটের ভিজিটর সংখ্যা প্রতিদিন প্রায় হাজার এর উপর।

তবে একটা বিষয় অবশ্যই সবসময় মনে রাখবেন যে আপনার ভিজিটর যেন অর্গানিক কিওয়ার্ড থেকে যেন বেশি আশে। তাহলে আপনার সাইট রেটিং অনেক বেড়ে যাবে গুগল এর কাছে।

একটা পরিসংখ্যান বলি আপনাদের, মনে করুন- আপনার সাইটের অর্গানিক ভিজিটর প্রতিদিন ১০০ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ভিজিটর ১০০০ হাজার। আপনি কি জানেন আপনার সাইটের জন্য কোনটা সবথেকে বেশি ভাল।

অবশ্যই সবসময় অর্গানিক ভিজিটর ভাল একটা সাইটকে গুগল এ রেঙ্ক করার জন্য। তাইতো সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ারিং করার সাথে সাথে আপনার সাইটের এসসিও চালিয়ে যেতে হবে।

৯. আর্টিকেল লেখার ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন

কোন কিছুই অনিয়মিত ভাল নয়। তাইতো ব্লগিং এর ক্ষেত্রেও এই কথাটা সত্য। আপনি আপনার সাইটে একটা নিয়ম মেনে পোস্ট করতে পারেন। এতে করে আপনার ভিজিটরদের কাছে একটা বিষয় ক্লিয়ার হবে যে আপনার সাইটে কখন নতুন পোস্ট করা হয়।

প্রতিনিয়ত পোস্ট করলে সাইটের রেঙ্কিং ভাল থাকে। কারন আপনি যদি প্রতিনিয়ত নতুন পোস্ট করেন তাহলে যারা আপনার সাইটের সাবস্ক্রাইবার তারা অন্তত সাইটের নোটিফিকেশন পেলে লিংকটা ক্লিক করে আর্টিকেলটা কিছুটা হলেও পরে দেখে।

এছাড়াও নতুন পোস্ট না করলে যারা আপনার সাইটের ফলোয়ার তারাতো আর আসবে না কারন আপনার সাইটের সব লেখায় তাদের আগে থেকে পড়া হয়ে গেছে।

এজন্য যারা নতুন ব্লগিং শুরু করবেন তারা অন্তত এই বিষয়টা সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করবেন। যে নিয়ম মেনে অন্তত পক্ষে প্রতিদিন না হোক সপ্তাহে হলেও একটা পোস্ট ছাড়তে হবে।

১০. ‍মনিটাইজেশন এর উপযোগী করে গড়ে তোলা

আমরা একে একে সর্বশেষ পয়েন্টে চলে আসলাম। এখন আপনাদের আলোচনার বিষয় কিভাবে আপনি আপনার সাইটটিকে মনিটাইজেশন এর উপযোগী করে গড়ে তুলতে পারেন।

আপনার যদি সাইটটি মনিটাইজেশন করা টার্গেট হয় তাহলে আমাদের আরো কিছু গাইডলাইন অনুসরন করতে পারেন।

আপনার সাইটটি যদি ওয়ার্ডপ্রেস এর হয়ে থাকে তাহলে আপনি Rank Math প্লাগিন টা এ্যাড করে নিতে পারেন। তাহলে আপনি আপনার প্রতিটা পোস্ট তৈরি করতে পারবেন মনিটাইজেশন এর উপযোগী করে। এছাড়াও আরো অনেক প্লাগিন আছে যেগুলো আপনার এসসিও বা কিওয়ার্ড রিসার্স করার জন্য অনেক বেশি উপযোগী।

এছাড়াও আপনি অন্তত পক্ষে ২৫-৩০টা পোস্ট করবেন সম্পূর্ন আলাদা লেখার উপরে। সবসময় নিজের ভাষায় লেখার চেষ্টা করবেন এবং কপি-পেস্ট করা যাবে না।

এছাড়াও আপনার প্রতিটা পোস্ট গুগল, বিং এবং ইয়ানডেক্সে ইনডেক্স করতে হবে। ইনডেক্স করলে আপনার সাইটে আস্তে আস্তে অর্গানিক ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে।

আপনার সাইটটি মনিটাইজেশন এর উপযোগী করতে গুগল কনসোল ও বিং ওয়েবমাস্টার অনেক প্রয়োজনীয়। আপনার এটা সেটাপ করে দেখতে পারেন। আমরা শীঘ্রই এর উপরে কিছু আর্টিকেল দিব আমাদের সাথেই থাকুন।

এই সকল কাজগুলো সঠিকভাবে করলে আশাকরি আপনি সাইটের মনিটাইজেশন খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।

পরিশেষে কিছু কথাঃ ব্লগিং কিভাবে শুরু করা যায়

সারাবিশ্বব্যাপি প্রতিদিন প্রায় ২০০০ জনেরও বেশি মানুষ নতুন করে সাইট ডেভেলপমেন্ট করে এই ব্লগিং করার জন্য। উপরের আলোচনায় আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল আপনি যাতে খুব সহজেই নিজে থেকে একটি ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারেন।

এবং উপরের সকল গাইডলাইনগুলো যদি আপনি সঠিকভাবে অনুসরন করেন আশাকরি, ব্লগিং কিভাবে শুরু করা যায় এই প্রশ্নটা আপনার মধ্যে আর থাকবে না। ব্লগিং কিভাবে শুরু করা যায় এই ধারনাটাও আশা করি আপনার পরিবর্তন হয়েছে।

Share This Article
Md. Abdur Rahman
By Md. Abdur Rahman Founder & Editor
Follow:
আমি একজন প্রযুক্তি প্রেমী। সবসময় নতুন নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে ও শিখতে আগ্রহী। এই সেক্টরে আমার অভিজ্ঞতা প্রায় ১০+ বছর। টেকপথ আমার একটি স্বপ্ন যাত্রার নাম। প্লাটফর্মটি প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দ্যেশ্য সহজ ভাষায় প্রযুক্তি সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া। এজন্য সকলের শুভকামনা আশা করি। ধন্যবাদ! নিজে পড়ুুন ও অন্যকে শেয়ার করে পড়ার সুযোগ করে দিন।
Leave a comment

Leave a Reply