বিকাশ থেকে লোন নিবো কিভাবে? বিকাশ বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি ফাইনান্স অ্যাপ। যার মাধ্যমে খুব সহজেই এক যায়গা থেকে অন্য যায়গায় অর্থ আদান-প্রদান করা যায়। এমনকি আপনি এই অ্যাপ ব্যবহার করে লোনও নিতে পারবেন। এখন, বিদেশ থেকে বিকাশ একাউন্টে খুব সহজেই টাকা পাঠানো যায়।
বিকাশ বাংলাদেশের নাম্বার ১ এমপ্লয়ার অফ চয়েস এবং ৪র্থ বারের মত দেশসেরা ব্র্যান্ড হিসেবে খ্যাত অর্জনকারী। আমাদের আজকের পর্বে আমরা দেখাবো কিভাবে বিকাশ থেকে লোন নেওয়া যায় তার শুরু থেকে শেষ। চলুন শুরু করা যাক –
পড়ুনঃ
বিকাশ থেকে লোন নিবো কিভাবে জেনে নিন
বিকাশ বাংলাদেশের জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে, তাই তাদের সুযোগ সুবিধাটাও বেশি। বিকাশের সাথে সিটি ব্যাংক যুক্ত হয়ে খুব সহজ শর্তে কোন কাগজ পত্রের ঝামেলা ছাড়া লোন প্রদান করার সুযোগ করে দিয়েছে।
তবে, এই লোন প্রসেসটি সকলের জন্য নয়। বিভিন্ন ট্রানজেকশন ও সেভিংস এর উপর বিবেচনা করে এই লোনের লিমিট নির্ধারিত হয়। কারও একাউন্টে ২,০০০ টাকা বা কারও একাউন্টে ১০,০০০টাকা লোন এর লিমিট দেখায়। লিমিট এর উপর নির্ভর করে আপনি ৫০০ টাকা থেকে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন ৩ মাসের কিস্তি অনুসারে।
বিকাশ থেকে লোন নিবো কিভাবে? চলুন সম্পূর্ন প্রসেসটি আমরা নিচে দেখে নেয়- বিকাশ অ্যাপ থেকে লোন নিতে আপনার মোবাইলে বিকাশ অ্যাপটি ইনস্টল থাকতে হবে।
ধাপ-০১ঃ প্রথমেই, আমরা আমাদের বিকাশ একাউন্টটি লগিন করবো। এর পর লোগিন ড্যাশবোর্ড থেকে লোন অপশনে ক্লিক করতে হবে।
ধাপ ০২ঃ লোন অপশনে ক্লিক করার পরে, নিচের দেওয়া স্ক্রিনটি ওপেন হবে। এখানে দেখতে পাবেন যে আপনি লোন পাওয়ার উপযোগী কিনা। যদি আপনি লোন এর জন্য উপযোগী না হন, তাহলে এখানো কোন এমাউন্ট দেখাবে না।
আর যদি আপনি লোন পাওয়ার উপযুক্ত হন, তাহলে আপনার লোন ড্যাশবোর্ডে এমাউন্ট দেখাবে। যে আপনি কত টাকা পর্যন্ত লোন পাবেন। আপনি চাইলে এই এমাউন্টও নিতে পারেন অথবা এর কম নিতে পারেন। বিকাশ থেকে আপনি সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা লোন নিতে পারবেন। নিচের স্ক্রিনটি দেখুন এবং ‘Get a Loan’ বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ০৩ঃ ‘Get a Loan’ বাটনে ক্লিক করার পরে আপনাকে লোন এর কিস্তি সংখ্যা দেখাবে, এখানে ডিফল্ট ৩ মাস সিলেক্ট থাকবে। এটা পরিবর্তন করা যাবে না। এবং এমাউন্টটি কনফার্ম করে Proceed বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ধাপ ০৪ঃ এখন আমাদের এই স্ক্রিনে টোটাল এমাউন্ট ও কিস্তি সংখ্যা দেখাবে। সাথে কিস্তির পরিমান, ইন্টারেস্ট ও তারিখ শো করবে। সম্মতি থাকলে Proceed বাটনে ক্লিক করে পরবর্তি ধাপে যান।
ধাপ ০৫ঃ লোনটি যেহেতু অনলাইন, সেক্ষেত্রে কোন কাগজ পত্রের ঝামেলা নাই। তবে অবশ্যই কিছু শর্ত, নীতি বা গাইডলাইন আছে যা আপনার মেনে নিতে হবে। যেমন – আপনি যদি কোন ইনস্টলমেন্ট দিতে দেরি করেন তাহলে এর উপর আরো ইন্টারেস্ট যোগ হবে।
এবং লোন নেওয়ার পরে যদি আপনি অনিয়মিত কোন ইনস্টলমেন্ট না দেন সেক্ষেত্রে সিটি ব্যাংক যেকোন একশন আপনার উপর নিতে পারে, এসকল কথা এখানে লেখা আছে। সম্মতি থাকলে Accept বাটনে ক্লিক করে সামনে এগিয়ে যান।
ধাপ ০৬ঃ এখন আমরা প্রায় শেষ ধাপে চলে এসেছি। এখানে আপনার এমাউন্ট, ইন্টারেস্টসহ লোন এমাউন্ট দেখাবে। রাজি থাকলে আপনার বিকাশ পিন নাম্বারটি টাইপ করে সামনে এগিয়ে যান।
সর্বশেষ ধাপঃ আমরা এখন সর্বশেষ ধাপে চলে এসেছি। এখন আপনি নিচে বিকাশ লোগোর উপর প্রেস করে রাখলেই, আপনার বিকাশ মেইন একাউন্টে আপনার লোন এমাউন্টটি যোগ হয়ে যাবে। নিচের চিত্রটি অনুসরন করুন –
পরিশেষে,
আশাকরি বিকাশ থেকে লোন নিবো কিভাবে? এই প্রশ্নের উত্তরটি এখন আপনার আর অজানা নেই। আপনি যদি বিকাশ লোন নিতে কোন সমস্যার সম্মূখিন হন তাহলে আমাদের মেসেজ করে জানাবেন। আমরা আপনাদের যথাযত সাহায্য করার চেষ্টা করবো।
টেকপথ বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় প্রযুক্তি ব্লগ সাইট যেখানে আপনি সকল ধরনের অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং, ব্লগিং, ইউটিউবিং এর মত কোর্স সম্পূর্ন ফ্রিতে পেয়ে যাবেন। ধন্যবাদ!