ইউনিকোড টু বিজয় কনভার্টার, যারা আমরা বিজয় বাংলায় লিখতে পারিনা অথবা বিজয় লিখাকে অনেক কঠিন মনে হয়। তাদের জন্য অভ্র টু বিজয় কনভার্টার বা ইউনিকোড টু বিজয় কিভাবে খুব সহজে প্রসেস করা যায় তাই নিয়ে আমাদের আজকের এই আয়োজন। মাত্র ২ মিনেটে আপনি খুব সহজেই অনলাইনে কোন সফটওয়্যার ইনস্টল এর ঝামেলা ছাড়াই ইউনিকোড এর লেখা বিজয় বাংলায় কনভার্ট করতে পারবেন।
ইউনিকোড কি
আমরা প্রথমেই জেনে নিব যে, ইউনিকোড আসলে কি? ইউনিকোড বা Universal Code এই শব্দটার সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত। এটা এমন একটা এনকোডিং সিস্টেম যা বিশ্বের সমস্থ ভাষাকে সর্বজনীন একটা ভাষাতে রূপান্তর করে এবং এই প্রক্রিয়াটি Unicode Standard নামে একটা প্রতিষ্ঠান রক্ষনাবেক্ষন করে থাকে।
ইউনিকোড সর্বপ্রথম চালু হয়েছে ১৯৯১ সালে এবং ২০২২ সাল পর্যন্ত এই সংস্করণে ১ লক্ষেরও বেশি অক্ষর যুক্ত হয়েছে।
সাধারনত ওয়েব মিডিয়াতে ইউনিকোড এর লেখা ছাড়া অন্য কোন ভাষার লেখা পোষ্ট করলে সেটা সবার কাছে সঠিকভাবে প্রদর্শিত হয় না। যেমন- আপনি যদি বিজয় বাংলার লেখা আপনার ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করতে চান তাহলে হবে না কারন এটা ইউনিকোড স্ট্যান্ডার্ড ভাষা নয় তাই এটি ওয়েব মিডিয়াতে সাপোর্ট করবে না।
ইউনিকোড ভাষার মধ্যে আছে- ইংরেজি, বাংলা অভ্র, হিন্দি, আরবি ইত্যাদি।
পড়ুনঃ
বিজয় বাংলা কি
বিজয় বাংলা বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় এবং বহুল পরিচিত বাংলা টাইপিং বা লেখালেখির সফটওয়্যার। সাধারনত এই বাংলা সফটওয়্যারটি বিভিন্ন সরকারি বা বেসরকারি অফিস-আদালত, ব্যাংক, বিমা, এনজিও, স্কুল-কলেজে বাংলা লেখালেখির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
বিজয় সফটওয়্যারে বাংলায় টাইপ করার জন্য দুটি পদ্ধতি রয়েছে – “বিজয় ক্ল্যাসিক” এবং “ইউনিকোড”। বিজয় ক্ল্যাসিকে এনসি এনকোডিং (ANSI Encoding) ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ এক্ষেত্রে মূলত ইংরেজি/ল্যাটিন বর্ণ, সংখ্যা বা চিহ্ন টাইপ হয়। উপযুক্ত বাংলা ফন্ট নির্বাচনের পর সেগুলো বাংলা বর্ণ বা সংখ্যার মতো দেখায়। ফলে কিবোর্ডের লেটার প্যাড এবং নাম্বার প্যাড – দুটোই ব্যবহার করা যায়।
বিজয় সফটওয়্যারটি যদি আপনার কম্পিউটারে ইনস্টল করা নাও থাকে তারপরও আপনি চাইলে বাংলা লেখা পড়তে পারবেন। এজন্য আপনাকে বাংলা ফন্ট ডাউনলোড করে উইন্ডোজ এর ফন্ট এর মধ্যে রাখতে হবে। এরপর আপনি ফাইলটার বাংলা লেখা পড়তে পারবেন।
অন্যদিকে ইউনিকোড হচ্ছে আন্তর্জাতিক অক্ষর-এনকোডিং সিস্টেম। যার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ভাষার লেখা দ্রুত কনভার্ট করতে পারবেন একটি স্টান্ডার্ড নিয়ম অনুসরন করে। এই ইউনিকোডের কোন লেখা সহজে পরিবর্তন হয়না। এটা ওয়েব মিডিয়ার জন্য বহুল ব্যবহৃত একটি মাধ্যম। কারন ইউনিকোড এর লেখা কোন দেশের ভাষার সাথে সামঞ্জস্য নয়। তাই আপনার মেশিনে যদি কোন ফন্ট ইন্সটল করা নাও থাকে। তবুও ওয়েবের লেখা অপরিবর্তিত থাকবে পড়তে কোন সমস্যা হবে না।
ইউনিকোড টু বিজয় কনভার্টার অনলাইন
আপনি যদি বিজয় বাংলায় লিখতে না জানেন নো টেনশন। আমরা এখন আপনাকে এমন একটি সহজ ট্রিকস দেখাবো যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ইউনিকোড টু বিজয় বাংলা কনভার্টার ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও চাইলে এর বিপরীত বিজয় টু ইউনিকোডেও রূপান্তর করতে পারবেন।
আমাদের এই টেকনিকটি ব্যবহার করার জন্য আপনার পিসিতে কোন সফটওয়্যার ইনস্টল করার দরকার নেই। অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজে কনভার্ট করে নিতে পারবেন আপনার যেকোন ইউনিকোড লেখা।
তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক, ইউনিকোড টু বিজয় কনভার্টার অনলাইন এর সম্পূর্ন প্রসেস-
১। প্রথমে কাজটি শুরু করার পূর্বে আমাদের দেওয়া লিঙ্কে ক্লিক করুন – ইউনিকোড টু বিজয় কনভার্টার অনলাইন
২। লিংকে প্রবেশ করার পরে আমরা নিচে দেখানো ড্যাশবোর্ডটি দেখতে পাবো। যেখানে মাঝামাঝি বাংলা কনভার্টারের জন্য দুটি অপশন আছে। “ইউনিকোড থেকে বিজয়” ও “বিজয় থেকে ইউনিকোড”।
আরো পড়ুনঃ
- শীর্ষ 10টি নিয়মে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখুন
- ফ্রি ইউটিউব ভিডিও ডাউনলোড করার সেরা 5 টি টুলস
- মাত্র ২১ দিনে গুগল এডসেন্স ওয়েবসাইট মনিটাইজেশন [Website Monetization]
২। এখন, আমাদের ইউনিকোড বাংলায় লেখা একটি অনুচ্ছেদ দরকার। এজন্য আপনি ইউনিকোড বাংলায় একটি অনুচ্ছেদ লিখতে পারেন। অথবা একটি ইংরেজি কন্টেন্টকে গুগল ট্রান্সলেট (Google Translate) এর মাধ্যমে ইউনিকোডে কনভার্ট করে নিতে পারেন নিচে দেখানো চিত্র অনুসারে।
৩। এরপর, আমরা গুগল ট্রান্সলেটের আউটপুট ফাইলটি আমাদের পূর্বের অনলাইন কনভার্টার সাইটের প্রথম ঘরে মানে ইউনিকোডের বক্সে পেস্ট করবো। এরপর খেয়াল করুন পেজটির মাঝের দিকে লাল দুটি বাটন রয়েছে। এরমধ্যে থেকে ইউনিকোড টু বিজয় বাটনে ক্লিক করতে হবে।
৪. ক্লিক করার সাথে সাথে আমাদের ইউনিকোড লিখাটি বিজয় বাংলায় কনভার্ট হয়ে নিচের বক্সে প্রদর্শিত হবে। নিচের চিত্রটি দেখে নিন। এখন আমরা আমাদের এই বিজয় টেক্সটি প্রয়োজন অনুসারে ব্যবহার করতে পারি।
বিঃদ্রঃ তবে একটি কথা অবশ্যই মনে রাখবেন যেহেতু এটি একটি অনলাইন কনভার্টিং সিস্টেম। সেহেতু ১০০% সঠিক তথ্য কনভার্ট নাও হতে পারে এজন্য মাঝে মধ্যে কিছুটা শব্দ পরিবর্তন করার প্রয়োজন হতে পারে।
আশাকরি তোমাদের বোঝাতে পেরেছি যে কিভাবে অনলাইনে ইউনিকোড এর যেকোন বাংলা লিখা বিজয় সফটওয়্যার ছাড়াই বিজয় ফন্টে কনভার্ট করতে পারি।
বিজয় টু ইউনিকোড কনভার্টার
এছাড়াও আপনারা এই অনলাইন কনভার্টার ব্যবহার করে ইউনিকোড এর বিপরীত বিজয় টু ইউনিকোড কনভার্ট করতে পারি। এজন্য আমাদের যা করতে হবে-
প্রথমেই আমাদের একটি বিজয় বাংলায় লেখা অনুচ্ছেদ প্রয়োজন। আমাদের কাছে পূর্বের কনভার্ট করা বিজয় টেক্স রয়েছে। এটা ব্যবহার করেই দেখবো।
এজন্য আমাদের বিজয় টেক্সটি অনলাইন কনভার্টারের নিচের বক্সে মানে বিজয় টেক্স এর ঘরে পেস্ট করতে হবে। এরপর মাঝখানের লাল বাটন থেকে এবার ক্লিক করতে হবে বিজয় থেকে ইউনিকোড বাটনটিতে।
ক্লিক করার সাথে সাথে পূর্বের ন্যায় বাংলা বিজয় টেক্সটি কনভার্ট হয়ে ইউনিকোড এর ঘরে প্রদর্শিত হবে। এভাবেন আমরা বিজয় থেকে ইউনিকোড এবং ইউনিকোড টু বিজয় বাংলায় কনভার্ট করতে পারি খুব সহজেই।
good content
يتجلى التزام المصنع بالاستدامة البيئية من خلال استخدام مواد صديقة للبيئة وممارسات التصنيع الموفرة للطاقة. إيليت بايب Elite Pipe
Your blogging technique is really awesome… carry on … we love it.
I do not even know how I ended up here, however I assumed this post was once great. I don’t understand who you’re but definitely you’re going to a well-known blogger in the event you aren’t already 😉 Cheers!
good article and need to more post about blogging.
One more thing I would like to say is that as an alternative to trying to fit all your online degree courses on days and nights that you finish off work (as most people are drained when they go back home), try to arrange most of your sessions on the week-ends and only a few courses on weekdays, even if it means a little time away from your saturdays. This pays off because on the week-ends, you will be more rested and also concentrated on school work. Thanks for the different points I have discovered from your web site.