এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখে অর্গানিক ট্রাফিক বৃদ্ধি 2024

Md. Abdur Rahman
16 Min Read

আপনি কি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল সম্পর্কে জানতে আগ্রহী? তাহলে এই পোষ্টটি আপনার জন্য অনেক স্পেশাল হতে চলেছে আজকের এই পর্বটি।

কারন আমরা বিশ্বের বড় বড় এসইও বিশেষজ্ঞদের মতামত পর্যালোচনা করে, সেটা বাংলা ভাষায় আপনাদের সামনে প্রকাশ করছি।আর্টিকেলটি কিছুটা বড় হতে পারে তবে আশাকরছি এরদ্বারা আপনারা উপকৃত হবেন। এজন্য আমাদের সাথেই থাকুন।

আমাদের আজকের এই পর্বটি সাজিয়েছে ১০টি আর্টিকেল লেখার নিয়ম আকারে। যার মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন যে কিভাবে একটি সঠিক নিয়মে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখা যায়। এবং গুগলে র‌্যাংক করা যায়।

- Advertisement -

শুরুতেই জেনে নেব কি কি থাকছে আজকের এই পর্বে?

এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল বলতে কি বুঝায়

প্রথমত এসইও বলতে আমরা সহজভাবে যেটা বুঝি সেটা হল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। সেই আদলে আমরা এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল বলতে বুঝি এমন একটি আদর্শ আর্টিকেল যেটা কিনা এই সার্চ ইঞ্জিনের সকল নীতিমালা বা বৈশিষ্ঠ্য অনুসরন করে তৈরি। সাধারনত একটি নতুন পোষ্ট লিখার জন্য আমাদের কয়েকটি বিষয় খুব গুরুত্ব সহকারে পালন করতে হবে যা মিস করলে আপনার পোষ্টটি একটি আদর্শ পোষ্ট থেকে বাদ পড়বে।

সারা বিশ্বব্যাপি প্রায় ৬০০ মিলিয়নের মত ব্লগার আছে। এবং তারা দৈনিক প্রায় ৭.৫ মিলিয়ন বা ৭৫ লাখের মত পোষ্ট পাবলিশ করে থাকে। তাহলে বুঝতেই পারছেন যে প্রতিদিন কত নতুন নতুন পোষ্ট সার্চ ইঞ্জিনে জমা পড়ছে। এর মধ্যে অনেক পোষ্ট বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে ভাল র‌্যাংক করছে আর বাকীরা পিছনেয় পরে থাকছে। তার একটাই কারন পোষ্টগুলো এসইও ফ্রেন্ডলি না করা।

পড়ুনঃ

এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখার সহজ ১০টি টিপস

উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম যে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল আসলে কি এবং কেন এটি এত গুরুত্বপূর্ন। এখন আমরা আলোচনা করবো কিভাবে সহজ ১০টি টিপসের মাধ্যমে এসইও বান্ধব আর্টিকেল তৈরি করতে পারি। তাহলে চলো বন্ধুরা শুরু করা যাক-

- Advertisement -

টিপস ০১ঃ পোষ্টের বিষয় নির্বাচনের পূর্বে ভাবুন!

সর্বপ্রথম আমরা যে বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা করবো তাহলো একটি পোষ্টের বিষয় নির্বাচন করা। এটা অতিব জরুরি যে একটি পোস্ট লিখার পূর্বে সেই বিষয় সম্পর্কে আপনাকে ভাবতে হবে। কারন বিষয় নির্বাচনের উপর নির্ভর করে, একটি সাইটের বেড়ে ওঠা বা ভিজিটর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া।

এজন্য আমার নিজস্ব মতামত, একটি বিষয় নির্ধারন করার পূর্বে সেই বিষয় সম্পর্কে গুগলে একটি সার্চ দিন। এবং গুগল থেকে সেই বিষয়ের জনপ্রিয়তা বা ফলাফল দেখে তারপর বিষয় নির্ধারন করুন।

গুগল-সার্চ-কিভাবে-করে
গুগলে সার্চ কিভাবে করে

এছাড়াও এমন কিছু প্রশ্ন খোজার চেষ্টা করুন, যে প্রশ্নগুলো বিভিন্ন শ্রোতা অনলাইনে প্রতিনিয়ত সার্চ করে। কারন আপনি যে আর্টিকেলটি লিখবেন তার মাধ্যমে যদি একজন শ্রোতার চাহিদা পূরন না হয় তাহলে সে হতাশ হয়ে ফিরে যাবে। এজন্য সবসময় কোন বিষয় নির্ধারনের পূর্বে আপনি একজন শ্রোতা হয়ে উঠুন।

পরিশেষে আমরা বলতে পারি, যে একটি পোষ্টের বিষয় নির্বাচন নির্ভর করে একটি পোস্টের সফলতা বা জনপ্রিয়তা কেমন হবে।

টিপস ০২ঃ কিওয়ার্ড রিসার্চ ও বাছাই

কিওয়ার্ড রিসার্চ গুরুত্বের দিক থেকে সবথেকে বেশি একটি পোষ্টের ক্ষেত্রে। কারন গুগলে বা অন্য সার্চ ইঞ্জিনে সাধারনত মানুষ কি দিয়ে সার্চ করবে। এবং সার্চ রিজাল্টে কাদের কাদের পোষ্ট সবার উপরে দেখাবে। এসকল বিষয় নির্ধারন হয় প্রতিটা পোষ্টের এসইও এর উপর নির্ভর করে। এবং কিওয়ার্ড রিসার্চ এই এসইও এরই একটি অংশ।

কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফ্রি টুলস অনলাইনে পাওয়া যায়। তবে গুগলের থেকে বড় টুলস আর হয়না। তাই আপনার টার্গেটেড কিওয়ার্ডটি গুগলে সার্চ করুন। সার্চ করলে বিভিন্ন ধরনের পোষ্ট পাবেন যেগুলো বর্তমানে র‌্যাংক করে আছে। এছাড়াও গুগল সার্চের একদম নিচে গেলে দেখতে পাবেন অনেকগুলো সাজেস্টেড কিওয়ার্ড আপনাকে দেখাবে। এখান থেকেও আপনি আপনার পোষ্টের জন্য কিওয়ার্ড সিলেক্ট করতে পারেন।

- Advertisement -
গুগল সার্চ রিলেটেড কিওয়ার্ড
গুগল সার্চ রিলেটেড কিওয়ার্ড

এভাবে করে ৮-১০টি কিওয়ার্ড বাছাই করে একটি নোটপ্যাডে সেভ করে রাখুন আপনার পোষ্টটি সম্পন্ন করতে প্রয়োজন পরবে। এবং সর্বদা কিওয়ার্ড বাছাই করার ক্ষেত্রে লং টেইল (Longtail) কিওয়ার্ড বাছাই করুন। কারন এই ধরনের কিওয়ার্ড কম্পিটিটর কম থাকে তাই সহজেই র‌্যাংক করা যায়।

টিপস ০৩ঃ একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন!

একটি আকর্ষনীয় শিরোনাম কোন একটি ব্লগ পোষ্টকে খুব দ্রুত জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে যেতে পারে। বাংলায় একটি প্রবাদ বাক্য আছে, “আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারী”- বহুল প্রচলিত এ প্রবাদ বাক্যটি যতটা জনপ্রিয় ততটায় যুক্তি সম্মত বলে ধরা হয। কারন চোখের সামনে কোন একটি নিউজ আসলে সাথে সাথে আমরা কিন্তু সেটা ক্লিক করি না। প্রথমে আমরা নিউজটি দর্শন করি তারপর যদি মনে ধরে তাহলেই পোষ্টটি পড়ার মনোনিবেশ করি অন্যথায় নয়।

ওয়েবসাইটের শিরোনাম
ওয়েবসাইটের শিরোনাম

এর থেকেই বুঝা যায় যে একটি আকর্ষনীয় পোষ্ট টাইটেল কত গুরুত্বপূর্ন। কিছু কিছু এসইও এ্যানালিস্টরা সাজেস্ট করেন, যে একটি পোষ্ট টাইটেল লিখার জন্য অন্তত ২/৩ ঘন্টা সময় ব্যয় করা জরুরি। তবে অবশ্যই আপনার পোষ্ট টাইটেল এর মধ্যে আপনার ফোকাস কিওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত করতে ভুলবেন না।

- Advertisement -

এবং একটি আদর্শ শিরোনামের সর্বোচ্চ সংখ্যা হবে ৬০ অক্ষরের মধ্যে। কারন গুগল বা অন্যকোন সার্চ ইঞ্জিনে আমরা যে সার্চ রিজাল্টগুলো দেখতে পায় সেখানে প্রতিটা পোষ্ট এর টাইটেল এই সংখ্যার মধ্যে সীমাবদ্ধ। আপনাদের সাইটটি যদি হয় ওয়ার্ডপ্রেসে তাহলে সহজেই Rank Math এসইও টুলস ডাউনলোড করে নিতে পারেন। এই টুলসের মাধ্যমে দেখে নিতে পারেন যে আপনার টাইটেল লিমিট সঠিক আছে কিনা।

টিপস ০৪ঃ পোস্ট বিবরণ ও মেটা

একটি পোস্ট এর বিবরণ ও মেটা বিবরণ দুটি ভিন্ন জিনিস। এই বিষয়টি আমরা অনেকেই ভুল করে থাকি। তাই এই বিবরণ সম্পর্কে বিস্তারিত আমরা দুটি ভাগে নিচে বর্ননা করছি-

পোস্ট মেটা বিবরণীঃ

আমরা উপরের পয়েন্টে বলেছি Rank Math টুলসটির কথা। হ্যা, আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের জন্য এমন অনেক ফ্রি টুলস পাবেন। যার মাধ্যমে আপনি একটি মেটা বিবরণী লিখতে পারবেন যেটাকে আমরা সারমর্মও বলতে পারি।

Post Meta Description 2
পোস্ট মেটা ডেসক্রিপশন

এই বিবরণীটি সার্চে প্রদর্শিত হয়। তাই এর গুরুত্বটি অনেক বেশি। এছাড়াও এটি আপনার পোস্টকে র‌্যাঙ্ক করাতে সহযোগীতা করে। কারন মেটা বিবরনী কিওয়ার্ড লেখার জন্য একটি দুর্দান্ত যায়গা।

- Advertisement -

”তবে একটি মেটা বিবরনী ১৬০ অক্ষরের বেশি করা যাবে না। অবশ্যই বিষয়টি মনে রাখবেন।”

পোস্ট বিবরণীঃ

সাধারনত একটি পোস্টের মূল বক্তব্য বা বিস্তারিত বর্ননা লিখা হয় এই পোষ্ট বিবরণীতে। একটি SEO-বান্ধব ব্লগ পোস্ট সম্পন্ন করার জন্য আপনার লেখার মধ্যে বিভিন্ন যায়গায় ফোকাস কীওয়ার্ড এর ব্যবহার চালিয়ে যেতে হবে সাথে আমাদের বাছাই করা কিওয়ার্ডগুলোও। এর ফলে আপনার পোস্টটি সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাংক করার সম্ভাবনা অনেকগুনে বেড়ে যায়।

পোস্ট ডেসক্রিপশন
পোস্ট ডেসক্রিপশন

একটি পোস্ট লেখার ক্ষেত্রে একটি বিষয় মনে রাখবেন যে, আপনার পোস্টটি যেন সর্বনিম্ন ৬০০ অক্ষরের হয়। কারন এর নিচে কোন আর্টিকেল লিখলে গুগল সহজে ইনডেক্স করতে চায় না। তবে বিভিন্ন সময় ৩০০ অক্ষরের পোস্ট ইনডেক্স হয়। যার কারন সেগুলো হয়তো খুব ইউনিক বা নতুন আইডিয়ার কনটেন্ট।

আর বড় কন্টেন্ট এর ক্ষেত্রে ২৫০০-৩০০০ অক্ষরের মধ্যে রাখার চেষ্টা করবেন। কারন এর বেশি বড় কন্টেন্ট পড়তে শ্রোতারা ভয় পায়। তবে আপনার সাইটটি যদি জনপ্রিয় হয় তাহলে বড় কন্টেন্ট দিতেই পারেন। কারন জনপ্রিয় সাইটগুলোকে সবাই আদর্শ সাইট হিসেবে বিবেচনা করে।

টিপস ০৫ঃ সকল ইমেজে Alt অ্যাট্রিবিউট ব্যবহার

গুগল রোবট প্রতিদিন মিলিয়ন মিলিয়ন ইমেজ ফাইল বিভিন্ন সাইট থেকে ক্রল করে থাকে। কিন্তু এই ক্রল করা ইমেজের মধ্যে বেশিরভাগ ইমেজই আমাদের সামান্য কিছু ভুলের কারনে গুগল সার্চে প্রদর্শন করে না। তাই, আজ আমরা জানবো কি সেই ভুল যার কারনে আমাদের ইমেজ ফাইলগুলো গার্বেজে চলে যাচ্ছে।

- Advertisement -

গুগল রোবট ছবি পড়তে পারে না। তাইতো সে যখন কোন একটি ছবি ক্রল করে তখন সেই ছবির সাথে থাকা ফাইলের নাম ও Alt অ্যাট্রিবিউট টি ট্যাগ করে রাখে। এবং গুগল সার্চে সেই নাম অনুসারে যদি কোন অনুসন্ধান আসে তখন গুগল সেই ছবি প্রদর্শন করে।

ইমেজে Alt অ্যাট্রিবিউট
ইমেজে Alt অ্যাট্রিবিউট

তবে আমরা এই বিষয়টি সম্পর্কে প্রায় সকলেই ভুল করে থাকি। ধরুন- আমি একটি ছবি ওয়েবসাইটে আপলোড করলাম, যার ফাইল নাম ‘Pic012.jpg’ । এখন গুগল এটাকে কিভাবে বুঝবে যে এটি কি ধরনের ইমেজ ফাইল। এছাড়াও আমরা অনেকেই ওয়েবসাইটে ইমেজের Alt অ্যাট্রিবিউট ব্যবহার করি না। এটিও খুব গুরুত্বপূর্ন।

কারন আপনি যখন আপনার ইমেজের ফাইল নামটি মিস করেছেন। তখন গুগল খোজার চেষ্টা করে যে ইমেজের Alt অ্যাট্রিবিউট দেওয়া আছে কিনা। যদি থাকে তাহলে এই যাত্রায় আপনি বেচে গেলেন। অন্যথায় ইমেজটি গার্বেজে চলে যাবে। এছাড়াও এটি এসইও করার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। কারন আপনি ইমেজের Alt অ্যাট্রিবিউটে আপনার কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।

টিপস ০৬ঃ ইন্টারলিংক এবং অ্যাঙ্কর টেক্সট

একটি সাইটের লিংক সংখ্যা বাড়াতে ইন্টারলিংকের জুরি নেই। ইন্টারলিংকের মাধ্যমে আমরা আমাদের ব্লগ সাইটের পূর্বের পোস্টগুলোকে লিংক করি দিতে পারি। যার ফলে আপনার সাইটের ভিজিটর দীর্ঘ সময় ধরে আপনার সাইটে অবস্থান করবে। এবং দিনদিন আপনার সাইটের বাউন্স রেটও কমে আসবে। যার ফলে আপনার সাইটটি গুগলে র‌্যাংক করবে দ্রুত।

এই ইন্টারলিংক করার ক্ষেত্রে আপনাকে একটি টেকনিক অনুসরন করতে হবে সেটা হল অ্যাঙ্কর টেক্সট

 ইন্টারলিংক এবং অ্যাঙ্কর টেক্সট
ইন্টারলিংক এবং অ্যাঙ্কর টেক্সট

ইন্টারলিংক শুধু করলেই হবে না। আপনাকে এসইও নীতি অনুসরন করতে হবে। আমরা পূর্বের যে পোস্টটি লিংক করাতে যাচ্ছি সেই পোস্টের মূল কিওয়ার্ডটি আমাদের বর্তমান পোস্টের মধ্যে লিখতে হবে এবং সেই লিখাটাতেই অ্যাঙ্কর লিংক বসাতে হবে।

একটি পোস্টের মধ্যে আপনি যত বেশি ইন্টারলিংক ব্যবহার করবেন তত ভাল। কারন এই ইন্টারলিংকের মাধ্যমে ভিজিটর অন্য পেজে প্রবেশ করলে গুগল সেই পেজগুলোকে আবার নতুন করে ইনডেক্স করে। তবে ইন্টারলিংকের ক্ষেত্রে আমাদের উপরের টেকনিকটি অবশ্যই মনে রাখতে হবে।

- Advertisement -

একটি ওয়েবসাইটের পার্মালিঙ্ক (Permalink) বা পোস্ট URL খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি অংশ। কারন এই লিংকটি বছরের পর বছর আপনার সাইটের তথ্য প্রচারের জন্য ব্যবহার হবে। তাই এই লিংকটা ভবিষ্যতে অপরিবর্তীতো রাখার জন্য সঠিক Permalink ব্যবহার করুন।

অনেকেই Permalink এর সঠিক ব্যবহার জানে না। তাইতো একবার লিংক বা পোস্ট পাবলিশ করার পরে আবার সেই লিংকটা পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয়। তবে এসইও এ্যানালিস্টদের তথ্য মতে, Permalink পরিবর্তন না করাটা সাইটের জন্য অনেক ভাল।

Permalink
পারমালিংক

আমরা সাধারনত অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের URL দেখি, যার বেশির ভাগই সঠিক নয়। তার কয়েকটি নিচে বর্ননা করা হল-

  • https://example.com/02/tech/page01.html
  • https://example.com/post/10002.html
  • https://example.com/how-to-start-a-online-business.html

উপরের প্রথম ‍দুটি URL সম্পূর্ন ভুল। কারন এখানে পোস্টের বিষয় সম্পর্কে কিছু বলা নেয়। আর ৩য় লিংকটি কিছুটা সঠিক, তবে গুগল সার্চ এমন কিছু শব্দ আছে যেগুলো উপেক্ষা করে। তাই এগুলো ব্যবহার না করার জন্য অনেক এসইও এ্যানালিস্ট সাজেস্ট করেন। যেমন – a, an, the, to, is, am, are ইত্যাদি আরো অনেক শব্দ। তাই সঠিক URL হওয়া উচিত – https://example.com/start-online-business.html

টিপস ০৮ঃ হেডিং ট্যাগ (H1, H2, H3) ব্যবহার

একটি পোস্টের সঠিক শিরোনাম বা হেডিং ট্যাগ ব্যবহার, এসইও (SEO) এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। সাধারনত একটি পোস্টের প্রধান শিরোনাম বা পোস্ট টাইটেল H1 ট্যাগ ব্যবহার করে। তাই আপনি আপনার পোস্টের মধ্যে ট্যাগ ব্যবহার করতে চাইলে H2 থেকে শুরু করতে পারেন।

- Advertisement -

হেডিং ট্যাগের ধারাবাহিকতা অবশ্যই বজায় রাখবেন। কারন এটি এসইওতে বাধা প্রদান করে থাকে।

Heading Tag
হেডিং ট্যাগ

তাই H2 ব্যবহার না করে H3 ব্যবহার করবেন না। এটি নিয়ম বহির্ভূত।

প্রতিটা হেডিং ট্যাগের মধ্যে আপনার পোস্টের বাছাই করা কিওয়ার্ডগুলো ব্যবহার করবেন। কারন হেডিং ট্যাগের মধ্যে কিওয়ার্ড ব্যবহার একটি ভাল এসইও কৌশল।

টিপস ০৯ঃ ব্যাকলিংক এর ব্যবহার

ব্যাকলিংক হল এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে এক সাইট থেকে অন্য সাইটে লিংক করা হয়। ব্যাকলিংকগুলো সার্চ ইঞ্জিনের জন্য একটি ইঙ্গিত প্রদান করে যে লিংক করা কন্টেন্টগুলো অন্যান্য সবার জন্য উপকারী। তাই যেকোন নতুন সাইটের দ্রুত র‌্যাংক করাতে এই ব্যাংকলিংকের গুরুত্ব অপরিসীম। এজন্য নতুন ব্লগারদের জন্য এই ব্যাকলিংকিং প্রসেসটি সম্পর্কে ভালভাবে জানতে হবে।

Backlink
ব্যাকলিংক

ব্যাকলিংক দুটি ভাবে হয়ে থাকে “ইনবাউন্ড ব্যাকলিংক” এবং “আউটবাউন্ড ব্যাকলিংক”।

ইনবাউন্ড ব্যাকলিংক হল আপনার সাইটের জন্য আগত ব্যাকলিংক। যদি অন্যকোন সাইট আপনার কোন পোস্টকে লিংক করে থাকে বা আপনি যদি অন্যকোন সাইটের মাধ্যমে আপনার সাইটে ভিজিটর নিয়ে আসেন। যেমন- কোয়ারা পোস্ট, বিভিন্ন সাইটের গেস্ট পোস্ট ইত্যাদি।

- Advertisement -

আউটবাউন্ড ব্যাকলিংক বলতে আপনি আপনার পোস্টের মধ্যে যে বহিরাগত সাইটের জন্য লিংক ব্যবহার করেন তাকে বোঝায়। তবে প্রতিটা পোস্টের মধ্যে অন্তত একটি আউটবাউন্ড ব্যাকলিংক ব্যবহার করুন। এটি এসইও ফ্রেন্ডলি কন্টেন্টের জন্য ভাল প্রাকটিস।

টিপস ১০ঃ কিওয়ার্ড অপটিমাইজ করা

আমরা আলোচনার একদম শেষের দিকে। আপনার পোস্টটি সম্পন্ন করার পূর্বে যে বিষয়টি না করলেই নয় সেটা হল কিওয়ার্ড অপটিমাইজেশন চেক। আমরা যে কিওয়ার্ডগুলো বাছাই করে রেখেছিলাম তার প্রতিটা আমাদের পোস্টের মধ্যে প্রবেশ করানো হয়েছে কিনা।

এছাড়াও টাইটেল, ডেসক্রিপশন, মেটা, লিংক ইত্যাদি সকল পয়েন্টে একবার চেক করে নিব। এজন্য আপনারা যদি Rank Math এর মত টুলস ব্যবহার করে থাকেন। তাহলে নিচের ছবির মত করে দেখাবে-

কিওয়ার্ড অপটিমাইজড
Rank Math কিওয়ার্ড অপটিমাইজ চেকলিস্ট

এছাড়াও আরো কিছু কিওয়ার্ড আমরা যোগ করতে পারি তা হল- আমরা গুগলে বিভিন্ন বিষয়ের উপর সার্চ করলে গুগলে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন দেখায়। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। কারন এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিলেও এটা কিওয়ার্ড হিসেবে কাজ করবে।

কারন মূলত আপনি একটি পোস্ট তৈরি করছেন আপনার ভিজিটরের সেটিকফেকশনের জন্যই। কিন্তু তারা যদি আপনার পোস্টটিতে ভিজিট করে তাদের মনের প্রশ্নটির উত্তর খুজে না পায় তাহলেতো হতাশ হয়ে ফিরে যাবে। এজন্য এটা একটি বেস্ট টেকনিক।

পরিশেষে কিছু কথাঃ

আশাকরি উপরের এই আলোচনার মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে একটি সাইটে সঠিক নিয়মে এসইও ফ্রেন্ডলি পোস্ট পাবলিশ করা যায়। এর জন্য দরকার কৌশল মেনে কাজ করা।

শেষ করার পূর্বে আরেকটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় জেনে রাখুন, আপনি যদি আপনার ব্লগ সাইটে প্রতিনিয়ত একটি সময় মেনে পোস্ট পাবলিশ করে থাকেন। তাহলে সার্চ ইঞ্জিনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার সাইটের রেটিং বাড়াতে সহযোগীতা করে কারন সাইটটি একটি রেগুলার আপডেটেড সাইট। এছাড়াও আপনার সাইটের প্রতিটা পুরানো আর্টিকেলও চাইলে মাঝে মধ্যে আপডেট করে পাবলিশ করতে পারেন।

এছাড়াও প্রতিনিয়ত গুগলের নতুন এসইও টেকনিক জানতে বিভিন্ন এসইও স্পেশালিস্টদের অনুসরন করতে পারেন। এর জন্য সবথেকে জনপ্রিয় সাইট, NeilPatel, Backlinko, HubSpot, Ahrefs ইত্যাদি।

Share This Article
Md. Abdur Rahman
By Md. Abdur Rahman Founder & Editor
Follow:
আমি একজন প্রযুক্তি প্রেমী। সবসময় নতুন নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে ও শিখতে আগ্রহী। এই সেক্টরে আমার অভিজ্ঞতা প্রায় ১০+ বছর। টেকপথ আমার একটি স্বপ্ন যাত্রার নাম। প্লাটফর্মটি প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দ্যেশ্য সহজ ভাষায় প্রযুক্তি সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া। এজন্য সকলের শুভকামনা আশা করি। ধন্যবাদ! নিজে পড়ুুন ও অন্যকে শেয়ার করে পড়ার সুযোগ করে দিন।
8 Comments