স্বল্প খরচে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়!

TechPoth
10 Min Read
Image by benzoix on Freepik

মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়? টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায়? মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায়? … ইত্যাদি! এমন আরো শত শত প্রশ্ন প্রতিদিন আমাদের চোখে পড়ে। আজ আমরা এমন সকল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। আপনার কাছে যদি ১৫ মিনিট সময় থাকে তাহলে একনাগারে পোষ্টটি পড়তে পারেন। আশা করি আপনার সময় বিফলে যাবে না।

ধন্যবাদ! পোষ্টটি পড়া শুরু করার জন্য।

প্রথমেই বলে নেয় আসলে বর্তমান সময়ে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় জানতে আপনাকে তেমন কোন কষ্ট করা লাগবে না। শুধুমাত্র আপনার আত্ববিশ্বাস ও কয়েকটি বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকলেই আপনি এই মাইলফলক ছুতে পারবেন। যা মাসে ৫০ হাজার টাকা বা তার বেশি মাসে লাখ টাকা আয়ও হতে পারে।

- Advertisement -

এখন আসি কাজের কথায়, আপনি আয় করার কথা যেহেতু ভাবছেন সেক্ষেত্রে আমি বলবো অবশ্যই আপনার কিছু ইনভেস্টমেন্ট নিয়েও ভাবা উচিত। কারন কিছু পেতে হলে কিছু খরচ করতে হয় এটাই প্রকৃতির নিয়ম। তবে, হ্যা আপনি জিরো ইনভেস্টমেন্টে থেকেও কাজ শুরু করতে পারবেন। যেটা হয়তবা প্রফেশনাল মানের হবে না, কিন্তু আপনি প্রথম থেকেই ফ্রিতে করতে পারবেন। সম্পূর্ন জানতে উপরের লিংকে ক্লিক করে ঘুরে আসুন।

সহজভাবে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

আসলে আমরা আপনাকে কোন মিথ্যা আশ্বাস দিব না বা বলবো না যে আজকে শুরু করেন কাল থেকে মাসে লাখ টাকা আয় শুরু হয়ে যাবে। আসলে সকল কাজেই কষ্ট বা পরিশ্রম করতে হয়। কিন্তু আপনার মনোবল এবং আত্ববিশ্বাস শক্ত হলে আপনি এ যাত্রায় সফল হতে পারবেন। ইনশাল্লাহ্!

বাড়তি আয় করার উপায় কেনা চাই। আপনি বা আমি কেউই এর বাহিরে নয়। তাই, আমি আপনাকে আজকে এমন কিছু কৌশল বা অভিজ্ঞতার কথা বলবো যা সঠিকভাবে শিখে প্রয়োগ করে আপনি ঘরে বসেই আয় করতে পারবেন। এটা অনেকেই করছে; তাহলে আপনি কেন নই?

তাহলে চলুন শুরু করা যাক –

১. ব্লগিং বা কন্টেন্ট তৈরি করে আয়

ব্লগিং বা কন্টেন্ট লিখে আয় করা একটি খুবই জনপ্রিয় উপায়। এর চাহিদা কখনো কমার নয় দিন-দিন এর বিস্তার আরো অনেকগুনে বেড়ে যাচ্ছে। তবে, আমাদের সমাজে সঠিক কন্টেন্টের অনেক অভাব। অনেকে আছে শুধুমাত্র ইনকামের উদ্দেশ্যে ভুল তথ্য প্রকাশ করে অ্যাড থেকে আয় করছে যেটা করা উচিত না।

- Advertisement -

আপনি কি জানেন একজন মিডিয়াম প্রফেশনাল ব্লগার মাসে কত টাকা আয় করে? আপনার কি কোন আইডিয়া আছে?

ঠিক আছে, আমি বলছি! একজন মিডিয়াম প্রফেশনাল ব্লগার মাসে ২/৫ লাখ টাকা আয় করে। আর যারা টপরেটেড ব্লগার তাদের আয় শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠবে। মাসে তারা আয় করে প্রায় কোটি টাকা প্লাস। উদাহরন – Darren Rowse যে মাসে প্রায় $40,000+/month ইনকাম করে থাকে।

তবে, বাংলা বা লোকাল ল্যাংগুয়েজ কন্টেন্টের ক্ষেত্রে ইনকামটি তুলনামূলকভাবে কম। একজন প্রফেশনাল বাংলা ব্লগার মাসে আনুমানিক ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা আয় করে থাকে। তবে, ইংরেজি কন্টেন্টের সিপিসি রেট অনেক হাই থাকে তাই ইনকামও বেশি।

এজন্য আপনি যদি মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় খুজতে চান আমি বলবো আজই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে কাজ শুরু করে দিন। নিজে তৈরি করতে পারলে ভাল অন্যথায় কাউকে দিয়ে করিয়ে নিতে পারেন। কম খরচে মাত্র ৫০০০ টাকায় শুরু করুন ব্লগিং ক্যারিয়ার সাথে লাইফটাইম সাপোর্ট!

২. ই-কমার্স ড্রপশিপিং

ই-কমার্সের আরেকটি সহজ ও লাভজনক মাধ্যম হলো ড্রপশিপিং। যা Shopify-এর মতো টুল ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই তৈরি করতে পারবেন। তবে, অবশ্যই এর জন্য আপনাকে প্রায় ৫০-১০০ ডলার খরচ করতে হবে।

এবং আপনার যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর জ্ঞান থাকে তাহলে ড্রপশিপিং করে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় নিয়ে চিন্তায় করা লাগবে না। এটা বর্তমানে অনলাইনে আয়ের দারুন একটি মাধ্যমে যা করতে আপনার কোন প্রডাক্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র বড় বড় সেলারদের প্রডাক্ট রিসেলিং করতে হবে।

- Advertisement -

আপনি যদি ড্রপশিপিং সম্পর্কে আরো জানতে আগ্রহী হন তাহলে ঘুড়ি লার্নিং এর Shopify with Drop Shipping কোর্সটি শুরু করে দিতে পারেন। এছাড়াও অনলাইনে অথবা ইউটিউবে হাজারো ভিডিও পাবেন যা দেখে আপনি ড্রপশিপিং সম্পর্কে জানতে ও শিখতে পারবেন।

৩. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় খুব বহুল প্রচলিত একটি উপায়। যার মাধ্যমে আপনি অন্য কোন কোম্পানির পন্য বা সেবা নিয়ে কাজ করতে পারবেন। এবং আপনার রেফারেল অনুসারে যদি কোন গ্রাহক আপনার বিজ্ঞাপন লিংক ব্যবহার করে পন্য বা সেবা ক্রয় করে তাহলে আপনি একটি কমিশন পাবেন।

এজন্য আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে হবে। অথবা আপনার যদি কোন জনপ্রিয় ব্লগ সাইট থাকে তাহলে খুব সহজেই আপনি সেখানে ফ্রি ক্যাম্পেইন করতে পারবেন। অন্যথায় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বা ইমেল মার্কেটিং করে পন্যের প্রচার করতে পারেন।

- Advertisement -

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে ৫০ হাজার টাকা বা তার বেশি আয় করা সম্ভব। তবে, অবশ্যই আপনাকে পন্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কিছুটা আলাদা আইডিয়া তৈরি করতে হবে। কারন একই পন্য আরো অনেকে বিক্রি করতে পারে তাহলে আপনারটা কেন নিবে?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আপনি অ্যামাজান ও আলিবাবা দিয়ে শুরু করতে পারবেন।

৪. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট কাজ করেও আপনি মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় বের করতে পারবেন। কারন বর্তমান সময়ে এত বেশি মার্কেটিং এর কাজ চলছে যার ফলে অনেকেই খুজছে তাদের কোম্পানির পেজ বা অ্যাড ম্যানেজ করার জন্য একজন বিশ্বস্থ্য মানুষ।

একজন দক্ষ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটারের কাজ একটি কোম্পানির অনলাইন উপস্থিতি বৃদ্ধি করা। যে কিনা কোম্পানির পেজ থেকে প্রতিনিয়ত পোষ্ট করবে, পোষ্ট পরিচালনা করবে এবং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের বিজ্ঞাপনগুলো ম্যানেজ করবে।

৫. ওয়েবসাইট এসইও মার্কেটিং

বর্তমান বিশ্বে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি নতুন ওয়েবসাইট রেজিস্ট্রেশন করা হয়। প্রতিটারই কাজ কোন না কোন ব্যক্তি করে থাকে। প্রতিটি নতুন সাইটের জন্য এসইও মার্কেটিং প্রথমদিকে খুবই গুরুত্বপূর্ন। এজন্য আপনি এই নতুন ওয়েবসাইটগুলোকে খুজে বের করে তাদের অফার করতে পারেন যে আপনি খুব সহজেই ও কম খরচে এসইও মার্কেটিং করে দিবেন।

- Advertisement -

এই প্রসেসটি অনেকেই জানে না বা করতে চাই না কিন্তু আপনি কি জানেন সারাবিশ্বের প্রায় ৮০% ওয়েবসাইট মালিকেরা জানেনই না যে মাঝে মধ্যে সাইটটি রি-ডিজাইন করতে হয় বা এসইও করতে হয়। তারা শুধুমাত্র বিভিন্ন প্রয়োজনে সাইটটি প্রথমে ডিজাইন করে এবং পরবর্তীতে এর আপডেট বা ফিক্সিং আর করতে পারে না। তাই, এই মাধ্যমে আপনি মাসে ৫০ হাজার টাকা খুব সহজেই বিনা পরিশ্রমে করতে পারবেন।

৬. অনলাইন টিউটরিং কোর্স বিক্রি

আপনি যদি কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর দক্ষ হন তবে অনলাইন টিউটরিং বা শিক্ষা দিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন। অথবা আপনার ট্রেনিংগুলো যদি ভিডিও করা থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই Udemy, Coursera এবং Skillshare-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলিতে আপনার কোর্স সেল করেও আয় করতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি নিজেও একটি টিউটরিং সাইট তৈরি করে সেখানে আপনার দক্ষতা অনুসারে ভিডিও আপলোড করে কোর্স তৈরি করে ছাড়তে পারেন। এবং তারপর আপনার সাইটের ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হবে। আশাকরা যায় বর্তমানে ট্রেনিং পেশার মত এমন মহৎ ও দ্রুত ইনকামের পথ আর কোন উপায়ে করা যাবে না।

এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনি সহজভাবে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় তৈরি করতে পারবেন।

৭. ফ্রিল্যান্সিং করে আয়

আপনি যদি চান যে অনলাইনে কাজ করে অর্থ উপার্জন করবেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে আপনার সেরা পছন্দ। কারন এখানে আপনি আপনার মন মত কাজ বেছে নিতে পারবেন এবং কাজ করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আপনি বিভিন্ন ক্যাটাগরির উপর কাজ করতে পারবেন যেমন- কন্টেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি। এবং ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হল আপওয়ার্ক, ফাইভার এবং ফ্রিল্যান্সার। ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য আপনার দক্ষতা অনুসারে একটি আকর্ষনিয় প্রোফাইল তৈরি করুন এবং আপনার পারিশ্রমিক ঘন্টায় কত ডলার সেটা সেট করুন।

- Advertisement -

৮. ভার্চুয়াল সহায়তা

ইমেল, সময়সূচী, প্রশাসনিক কাজ এবং অন্যান্য দায়িত্ব পরিচালনা করতে, অনেক কোম্পানি এবং উদ্যোক্তা ভার্চুয়াল সহকারী নিয়োগ করে। আপনার যদি সাংগঠনিক দক্ষতা থাকে এবং দক্ষতার সাথে মাল্টিটাস্ক করতে পারেন তবে ভার্চুয়াল সহকারী হিসাবে কাজ করার কথা বিবেচনা করুন। আপনি ভার্চুয়াল সহকারী চাকরি খুঁজে পেতে পারেন যেখানে আপনি বাড়ি থেকে কাজ করতে পারেন এবং Upwork এবং Remote.co-এর মতো ওয়েবসাইটগুলিতে স্থির আয় করতে পারেন৷

পরিশেষে কিছু কথাঃ

আশা করি উপরের আলোচনা থেকে আপনি কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে, মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় তৈরি করা যায়। আমরা খুব সহজভাবে সহজ আইডিয়ার মাধ্যমে আপনাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি।

এছাড়াও, আমাদের পূর্রের পোষ্ট ব্লগিং করে টাকা ইনকাম মাসে ২৫-৩০ হাজার। যেখানে আমরা ব্লুগিং এর খুটিনাটি থেকে শুরু করে কিভাবে আয় করবেন সবকিছু বিস্তারিত দেওয়া আছে। আজ এই পর্যন্তই কোন জিজ্ঞাসা থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ!

মেধা থাকলেই তাকে মেধাবী বলা যায় না,
মেধাবী হলো সে-ই যার মেধা না থাকা সত্তেও চেষ্টা দিয়ে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

রেদোয়ান মাসুদ
Share This Article
Follow:
টেকপথ একটি জনপ্রিয় প্রযুক্তিগত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। যার মাধ্যমে আপনি শিখতে পারবেন ফ্রিল্যান্সিং, ইউটিউবিং, সফটওয়্যার সিকিউরিটি, গ্যাজেট তথ্য, টেক ট্রাবলশুটিং ইত্যাদি ।
Leave a comment

Leave a Reply