ইউটিউব বর্তমান সময়ের সবথেকে জনপ্রিয় অনলাইন ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম। দিন-দিন এর চাহিদা এবং ব্যবহার প্রচুর পরিমানে বেড়ে চলেছে।
আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে এবং ইউটিউব চ্যানেলের জন্য একটি সুন্দর ও আকর্ষনীয় ইন্ট্রো ভিডিও তৈরি করতে চান তাহলে এই ভিডিওটি আপনার জন্য। আমরা আজ আপনাদের দেখাবো কিভাবে খুব সহজেই আপনি একটি ইন্ট্রো ভিডিও মাত্র ১/২ মিনিটে তৈরি করতে পারবেন।
ইউটিউবের ইন্ট্রো ভিডিও তৈরির প্রক্রিয়া
আপনাদের আজকের এই ভিডিও ইন্ট্রো তৈরির জন্য আমরা ব্যবহার করবো একটি জনপ্রিয় এনিমেশন ভিডিও মেকিং সফটওয়্যার – ক্রিয়েটর স্টুডিও প্রো। টুলটি প্রিমিয়াম হলেও আপনি অনলাইনে কিছু টরেন্ট সাইটে এর সোর্স ফাইল পেয়ে যাবেন। বর্তমানে সফটওয়্যারটি খুব সূলভ মূল্যে আজীবন মেয়াদে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র – ৬৭ ডলারে যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭,৫০০ টাকার মত।
সফটওয়্যারটি ক্রয় করতে চাইলে এই লিংকে ভিজিট করুনঃ Create Studio Pro Lifetime Access
সফটওয়্যারটি ব্যয়বহুল হলেও এর কার্যকারীতা বিশাল, আপনি যদি একজন প্রফেশনাল মানের ইউটিউবার হতে চান তাহলে সফটওয়্যারটি আপনার জন্য খুবই উপযোগী। এই সফটওয়্যারটি চালাতে তেমন কোন স্কিল এর প্রয়োজন নেই। সম্পূর্ন ভিডিও তৈরি করতে পারবেন ড্রাগ-ড্রপ এর মাধ্যমে।
যাইহোক, চলুন নিচের ভিডিওটি দেখে নেই, যে কিভাবে একটি ইউটিউব ইন্ট্রো ভিডিও তৈরি করা যায় চোখের পলকে।
সফটওয়্যারটি আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে। আমি প্রায় ২ বছর ধরে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে আসছি। আমার কাছে প্রিমিয়াম এবং ফ্রি ক্র্যাক দুই ভার্শনই আছে। কেউ নিতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন, সিকিউরিটির জন্য আমরা ক্রাক লিংকটি দিতে পারছি না।
সফটওয়্যারটিতে প্রি-মেড অনেক ডিজাইন টেমপ্লেট রেডি করে দেওয়া আছে, এজন্য আপনি ইন্ট্রো ভিডিও তৈরি করতে চাইলে এই প্রি-মেড টেমপ্লেট ব্যবহার করে শুধুমাত্র আপনাকে ব্যবহার করে ইডিটিং করে নিতে হবে। সফটওয়্যারটি বাংলা ভাষাও খুব সুন্দন ব্যবহার করা যায়, যা আমি এর আগে কোন সফটওয়্যারে পায়নি।
Create Studio Pro স্ক্রিনসট ও বৈশিষ্ঠ্যঃ
একটি বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করতে ভুলে গেছি, উপরের চিত্রটি ক্রিয়েটর স্টুডিও এর হোম স্ক্রিন। এই সফটওয়্যারটি কিন্তু আপনি ইন্টারনেট ছাড়া ব্যবহার করতে পারবেন না। কারন সফটওয়্যারের সাথে সকল ফাংশনালিটি ইন্টারনেট থাকলেই সঠিকভাবে কাজ করবে। তবে হ্যা, আপনার প্রোডাকশনের ভিডিও তৈরি করার সময় ইন্টারনেট চলে গেলেও কাজ করতে পারবেন বা ভিডিও রেন্ডারিং এ কোন প্রবলেম হবে না।
নিচে আমরা দেখবো সফটওয়্যারটির টেমপ্লেট সেকশন, যেখানে প্রি-মেড অনেক ভিডিও তৈরি করা আছে। আপনি শুধুমাত্র ব্যবহার করবেন আর এডিট করবেন।
এখন আমরা দেখবো, ইমেজ স্টোর। এই সফটওয়্যারটি ৩টি বড় বড় ফ্রি ইমেজ সাইটের সাথে কানেক্টেড তাই আপনি চাইরে যেকোন ইমেজ শুধুমাত্র এক ক্লিকেই ব্যবহার করতে পারবেন।
নিচের এই ফাংশনটি আমার কাছে বেশ মজার। আপনি চাইলে এই সফটওয়্যার দিয়ে প্রায় ৪০+ ল্যাংগুয়েজের টেক্স টু ভয়েস কনভার্ট ব্যবহার করতে পারবেন। তার মানে, আপনি খুব সহজেই যেকোন টেক্স লিখে তার ভয়েস আউটপুট বের করতে পারবেন, যা ভিডিও তৈরির জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।
যাইহোক বন্ধুরা, আমরা আজ আপনাদের সাথে এর সংক্ষিপ্ত বিবরন প্রকাশ করলাম। পরবর্তীতে এর বিস্তারিতসহ আরো অনেক কাজ নিয়ে থাকছে কমপ্লিট লেসন, যেখানে আমরা দেখাবো কিভাবে কার্টুন এনিমেশন তৈরি করতে হয়, কিভাবে ভিডিও এফেক্ট ব্যবহার করতে হয় ইত্যাদি।
আমাদের সাথেই থাকুন এবং আমাদের লেসটি যদি ভাললেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের সাইটটি বুকমার্ক করে রাখুন। ধন্যবাদ! আপনার দিনটি শুভ হোক!